বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। দেশের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোঁড়াও, হামলার ঘটনা ঘটছে। সবশেষ আলোচিত ঘটনা হচ্ছে- শনিবার গোপালগঞ্জে দায়িত্বরত সেনাদের উপর হামলা করেছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ ও কালিমাযুক্ত করতে বহুমাত্রিক অপতৎপরতা চলছে এখন। অন্তর্বর্তীকালীকে সরকারকে ব্যর্থ করার জোর চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় তাদের পরামর্শ হচ্ছে- এ বিষয়ে ছাত্র-জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে। অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের হামলায় ৯ সেনা আহত হয়েছে। সেখানে সেনাদের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ দুটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার রাতে এ কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
ওদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর শনিবার বড় একটি ঘটনা ঘটে গেছে আদালত পাড়ায়। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে না জানিয়েই সভা ডেকেছিলেন সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি আওয়ামী লীগ ঘরনার ওবায়দুল হাসান। সভায় ‘জুডেশিয়াল ক্যু’ হতে পারে- এমন শঙ্কা থেকেই হাইকোর্ট ঘেরাও করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে শেষে সেই সভা স্থগিত করা হয়। অবশেষে বৈষম্যবিরোধে ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটার মুখে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান। ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপে দেওয়া পোস্ট থেকে জানা গেছে, ‘জুডেশিয়াল ক্যু’ এর বিষয়টি আগেই জানতে পেরেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এজন্য তারা সভা শুরু হওয়ার আগেই হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেয়।
রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে যে অরাজকতা ও লুটপাট শুরু হয়েছে- সেটা অবিলম্বে রোধ করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি পাড়া পাড়ায় মহল্লায় ছাত্র-জনতা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে