‘স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না’

২৭ মার্চ ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না। স্বাধীনতা মানুষের অধিকার, অধিকারকে অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে ওঠে। আবার অধিকারের অপপ্রয়োগ স্বাধীনতাকে খর্ব করে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে এই অনুষ্ঠানের সমাপনী হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আবদুল হামিদ আরও বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একক দায়িত্ব নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গর্বের ও সম্মানের। ১৯৭১ সালে মার্চের এই দিনের প্রথম প্রহরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর মর্যাদাপূর্ণ নিষ্পত্তিরও আশা করেন। বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু অনুসৃত ‘কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কূটনৈতিক অঙ্গনে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর ও সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমানবতার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। আমি আশা করি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ভারতসহ বিশ্ব সম্প্রদায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর