নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, দলীয় ক্ষমতার প্রভাব, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল অপসারণসহ নানা অভিযোগে সাতক্ষীরার বড়দল আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কলেজগেটে এক ঘন্টার মতো সময় এ মানববন্ধন হয়। অধ্যক্ষের পথ থেকে পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফিজুল ইসলাম জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল অপসারণ করেছেন। কোন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে কথা বললে বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষকদের হুমকি ধামকি দেন। তার অত্যাচারে কলেজের শিক্ষকসহ কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সহকারী অধ্যাপক মো. আলী জানান, অধ্যক্ষ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। সেই টাকা নিজের খেয়ালখুশি মতো খরচ করেন। শিক্ষকদের সাথে অশ্লীল আচরণ করেন নিয়মিত। তিনি একজন জুনিয়র শিক্ষক হয়েও অদৃশ্য কারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ৬ জন সিনিয়র শিক্ষা থাকার পরেও মোটা অংকের টাকার বিনিময় ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে অধ্যক্ষের চেয়ারটি হাতিয়ে নিয়েছেন বাবলুর রহমান। তিনি এখন সিনিয়র টিচারদের অসম্মান করেন। এমনকি তার ইশারায় শিক্ষক কর্মচারী বহিরাগত এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার খবরও রয়েছে।
মানববন্ধনে মাওলানা হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য আরও দেন, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টু, সহকারী অধ্যাপক নেহার রঞ্জন গোলদার, সিনিয়র শিক্ষক রবিউল ইসলাম, শিক্ষক শিবপদ প্রমুখ। শিক্ষকদের মানববন্ধনে স্কুল এবং কলেজ শাখায় সহকারী শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যা। এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
বিডি২৪অনলাইন/কিশোর কুমার/সি/এমকে