পঞ্চগড়ে একঘরে মা-দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন,গ্রেফতার- ২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১৫ অগাস্ট ২০২৪

হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যেই পঞ্চগড়ে কাপড় ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও তার দুই ছেলের  আলোচিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করার পরে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

আটকরা হলো-পশ্চিম সাত খামার এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে নবীন ইসলাম জাহিদ (২২)   নগরকুমারী এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে রিমন ইসলাম ।   নিহতরা হলো- কুন্ডুলিয়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী সেলিমের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩২), তার বড় ছেলে সৈকত শেখ (১৪) ছোট ছেলে সায়হাম শেখ ()

পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা অফিস কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, মুরগির খামারে চাকরি থেকে অভিযুক্তদের বাদ দেওয়ায় নিয়ে সেলিমের সাথে নবীনের কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা আটে নবীন। পরে নবীন,সাজ্জাদুর রহমান,রিমন ইসলাম রিফাত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার রাত সাড়ে টায় ওই বাড়িতে যায়। সেলিমকে না পেয়ে তারা প্রথমে সায়হামকে, এরপর তাসলিমা বেগম শেষে বড় ছেলেকে বটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখাবটি আটকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত সোয়া ১১ টায় বোদা বাজার থেকে  দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান সেলিম। এ সময় বাড়ির বাহিরের মেইনগেট খোলা ছিল। পরে ঘরে ঢুকে মেঝেতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অবস্থায় তার চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন ছুটে আসে তার বাড়িতে। পরে আটোয়ারী থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

এদিকে হত্যাকান্ডের ক্লু উৎঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন নবীন ইসলাম তার বাম হাতের তালু কাটা অবস্থায় প্রথমে বোদা ও পরে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য পায়। এরপর তাকে আটক করা হয়।

ওদিকে এ ঘটনায় সেলিম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে। সেই মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলার বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর