দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে সরকার

২৭ মার্চ ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে তার সরকার। বিগত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে সভাপতির বক্তব্যে  শুক্রবার (২৬ মার্চ) এসব কথা বলেন।

ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। সমাপনী দিনে  প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সব ভেদাভেদ ভুলে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের মঙ্গলে কাজ করতে দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। একটি স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে এলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী। এই অঞ্চলে যে সম্পদ রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলটাকে আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত করতে সক্ষম হবো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুপ্রতিম ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণ করেন তার পিতা মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁকে ভারত সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও। স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, ৫০ বছর আগে এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি জান্তাদের হাতে বন্দি হওয়ার আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

ভারত প্রসঙ্গে সরকার প্রধান আরও বলেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রই  নয়, ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং ভৌগোলিক সেতুবন্ধন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার এবং সে দেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা-  কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি। ভারতের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর