রণক্ষেত্র বায়তুল মোকাররম এলাকা

২৭ মার্চ ২০২১

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকা। পুলিশ, উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোকের সঙ্গে মুসল্লীদের সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা পুরোটা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে মুসল্লির সংখ্যাই বেশি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।উচ্ছৃঙ্খল লোকদের পরিচয় সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।    

 

জানা গেছে, উত্তর গেট দিয়ে বিক্ষিপ্তিভাবে একদল মুসল্লি মোদি বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে রাস্তায় বের হওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, পুলিশ লাঠি চার্জ করলে মুসল্লিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।এক পর্যায়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।  জানা গেছে, জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররমের সামনে অবস্থান নিয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের হলে লাঠি দিয়ে মিছিলকারীদের ওপর চড়াও হয় তারা।বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। অন্যদিকে পুলিশও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় মসজিদের ভেতরে আটকা পড়েছেন সাধারণ মুসল্লিরা।

 

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছে। কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন। আহতদের মধ্যে সাংবাদিক, পথচারী, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠনের কর্মী, মুসল্লি, রিকশাচালক রয়েছেন। ইটপাটকেল, লাঠির আঘাত, গুলিরসহ বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে আহতদের শরীরে। আহতরা হলেন— টুটুল (৩৯), দিদার (৪০), আরিফ (৩২), আজিজ (৪০), তারেক (২৫), শাকিল (৪৫), মুরাদ (৩৫), সোহেল (৩০), নজরুল ইসলাম (৪৬), চঞ্চল (৩৪), খায়রুল (৩৬), রিয়াদ (৩৫), আরিফ (৪৫), ইমন (৩২), জীবন (৪০), কলিমুল্লাহ (৩০), মাইদুল (২৯), একাত্তর টিভির সাংবাদিক ইশতিয়াক ইমন (৩০), গাজী মাজারুল (৫০), রুবেল মাতাব্বর (৩১), ইমন খান (৩৮), সোহেল (২৩), লিমন (৩৮), আসাদুল (৩০), নিয়ামুল ইসলাম (২৩), সোহেল (২৯), আনোয়ার হোসেন (৪২), দুলাল হোসেন (৪০), মনির (২৪), অজ্ঞাত পুরুষ (২২) পরনে পাজামা পাঞ্জাবি, প্রবীর দাস (৩৭) (ডেইলি স্টারের সাংবাদিক)-সহ ৪০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত হোসেন আহমেদ মিঠুর (৩৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক (ওসি) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর