ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করলেও বরাবরই কঠিন  শর্ত জুড়ে দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। কিন্তু এবার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাবে নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন বলে দাবি করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। খবর ডয়চে ভেলের।

ব্লিংকেন জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নেতানিয়াহু মেনে নিচ্ছেন বলে তাকে জানিয়েছেন। এখন হামাস এ প্রস্তাব মেনে নিলেই  আর যুদ্ধ থাকবে না।

ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি হামাসের উপর এখন নির্ভর করছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে শুরু থেকেই মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার। তাই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে এখন কাতার সফর করবেন ব্লিংকেন।  আর এবার কাতার সফর করলে এ নিয়ে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে নয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন ব্লিংকেন।

এদিকে মধ্যস্থতাকারীদের একটা অংশ মনে করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে। যদিও ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এ সংঘাত আরো বাড়ার আশংকাও করছেন অনেকে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, আলোচনার সময় কেউ  এমন কোনো কাজ যেন না করে, যাতে এ প্রক্রিয়া বানচাল হয়।

বিডি২৪অনলাইন/ আই/এমকে