ফের করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। টানা দুই সপ্তাহের
বড় দরপতনে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতন
ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ
ব্যাংক একাধিকবার বৈঠক করলেও সঙ্কট কাটছে না।এতে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
মধ্যে।
তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার কারণে এই অর্থ হারিয়েছেন
বিনিয়োগকারীরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেকেই শেয়ার বাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা
করছেন। ফলে বাজার উত্থানের চেয়ে পতন হচ্ছে বেশি। আর দরপতনের আতঙ্কে লোকসান
হলেও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ছোট ও মাঝারি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীরা
গেল সপ্তাহে হারিয়েছেন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা, আগের সপ্তাহে হারায় সাড়ে ১০ হাজার
কোটি টাকার ওপরে।
তথ্য বলছে, গেল সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়। এর মধ্যে দুই
কার্যদিবসে রীতিমতো ধস নামে। সেই সঙ্গে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে লেনদেনের
পরিমাণ। বাজার মূলধন কমে দাঁড়ায় চার লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে
এর পরিমাণ ছিল চার লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, আগের সপ্তাহে
কমেছিল ১৩৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। ডিএসই-৩০ সূচকটি কমেছে ৫২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, আগের
সপ্তাহে কমেছিল ৮০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট । ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ৯৯
পয়েন্ট, আগের সপ্তাহে কমেছিল ১৮ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ৫৩টি
প্রতিষ্ঠান, দাম কমেছে ২২১টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৪টির । লেনদেন হয়েছে তিন হাজার
চার কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ
টাকা।
এমকে