কলকাতায় রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে ‘নবান্ন অভিযানের’ ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৭ আগস্ট ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হবে। ছাত্রদের এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবনের উদ্দেশে লংমার্চের আদলে এ কর্মসূচিতে কারো হাতে থাকবে না কোনো দলীয় পতাকা। তাছাড়া কোনো রুট না বলায় শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে পারে। এদিকে এ কর্মসূচি ঘিরে সেখানকার প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।
রাজ্যের আরজি কর হাসপাতালকান্ডের ঘন্টায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশটির সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন করেছেন। কলকাতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিনই চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ।
গেল শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও কর্মসূচির পর এদিন বিজেপির বাংলার থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তি বিক্ষোভকারীদের। এ অবস্থায় রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি, সিপিএমের ছাত্র ও অন্যান্য শাখা সংগঠনের সদস্যরা প্রতিদিন কলকাতাসহ রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ করছে। রাজনৈতিক দলের পতাকা ত্যাগ করে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে টানা মিছিলে কার্যত রাজ্যকে গণপ্রতিবাদের দিকে নিয়ে গেছে সিপিএমের শাখা সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা সরকার পতনে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে এক দফার ডাক দেওয়া হয়েছিলো, তেমনই সিপিএম, বিজেপি, আইএসএফ এবং কংগ্রেস স্লোগান দিচ্ছে ‘দফা এক দাবি এক- মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ’। স্লোগানটি এখন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
কয়েক মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেয়নি পশ্চিমবঙ্গের ষাট শতাংশের মতো মানুষ। বিশেষ করে শহরের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের ভোট পায়নি তৃণমূল। সেই মানুষগুলোই মমতা সরকারের পতন চেয়ে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তার সরকারকে জনগণের নির্বাচিত সরকার উল্লেখ করে এ আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে দেখে অনেকেই সরকার ফেলার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে।
ওদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এটা কোনো দলের ডাক নয়। সব পরিবারের থেকে একজন করে নবান্ন অভিযানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সবাই বুঝতে পারছেন- সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী। রক্তপাত এড়াতে ২৬ আগস্টের মধ্যে পদত্যাগসহ সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখতেও মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন এ নেতা।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে