দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরেও সচিবালয় এবং আনসার সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিল আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করায় এসব আনসারের চাকরি স্থগিত করা হয়েছে। যারা সাধারণ আনসারদের ইন্ধন দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি জানান বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
সাজ্জাদ মাহমুদ জানান, চাকরি স্থগিত হওয়া আনসারদের কাছ থেকে সন অস্ত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। কেননা অবাধ্য কারো হাতে অস্ত্র থাকলে দেশ ও জাতির জন্য ঝুঁকির কারণ হবে সেটা।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা কর্মস্থলে ফেরেননি, তাদের পলাতক হিসেবে ধরা হয়েছে।
আন্দোলনের পেছনে অন্য মতলব ছিল বলে মনে করেন আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক। তিনি বলেন, আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ ছিল। যেখানে বাহিনীর পোশাক পরিহিত হয়ে আসার পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি পোশাক নিয়ে আসতে বলা হয়। এতেই বোঝা যায়, আন্দোলনে বহিরাগতরা ছিল।
তিনি বলেন, সচিবালায়ে আনসার সদস্যরা অবস্থান নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আনসারদের সমন্বয়করাসহ সংশ্লিষ্টরা আলোচনা করেন। সেখানে তাদের দাবি মানার বিষয়ে ঐক্যমতো হয়,একটি কমিটিও গঠন হয়। আন্দোলনের পর সমন্বয়করা বাইরে এসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেও সেখানে বহিরাগতরা থাকায় তারা আন্দোলন থেকে সরে যায়নি। এর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। আন্দোলনটা শুরুতে আনসারদের থাকলেও পরবর্তীতে এটা অন্যকারো হাতে চলে যায় বলে জানান তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে