এক বছরে মুনাফা বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ অগাস্ট ২০২৪

এক বছরের ব্যবধানে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করে এ ব্যাংক। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় বাদ দিয়ে নিট মুনাফা হয় ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে নিট মুনাফা ছিল ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন নয়। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে অর্থ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রয়োজনে কখনও ডলার ক্রয়-বিক্রয় করে। মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে রেপো,  তারল্য সহায়তার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেয়। অনেক সময় রিভার্স রেপোর মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা তুলে নেয়।  এসব ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে  মুনাফা হয়।

স্পেশাল রেপোর বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংককে দেওয়া স্বল্পমেয়াদি ধার দিয়ে গত অর্থবছর সবচেয়ে বেশি আয় করেছে রেপো।  এ বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।

তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দেখানো হয় ৯৭ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। যদিও এ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঋণ না বেড়ে উল্টো হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে। তবে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে তথ্য গোপন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বছরে সরকারের ব্যাংক থেকে নিট ঋণ ছিল  ৮২ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ঋণ সরবরাহ করলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে।

বৈদেশিক মুদ্রার চরম সঙ্কটে গত অর্থবছরও  বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগের অর্থবছর বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। সময়ে টাকার বিপরীতে ডলারের দর অনেক বেড়েছে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খাত থেকে ভালো আয় হয়েছে।  ডলার বিক্রির কারণে অবশ্য  রিজার্ভ  কমে এখন আইএমএফের বিপিএম- অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এদিকে নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ হয়েচে।  আন্তঃব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছে সরকারের আমদানি চাহিদা।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর