অর্থনীতি চাঙায় রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ অগাস্ট ২০২৪

null

 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের মাসে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছিল বিদেশে অবস্থানরত কর্মজীবী বাংলাদেশিরা। ফলে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবার রেমিট্যান্স প্রবাহ হু হু করে বাড়ছে। আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি ( দশমিক ০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।

এ ২৮ দিনে আসা বৈদেশিক মূদ্রাকে বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় করলে টাকার অংক দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে রেমিট্যান্সের পরিমাণ জানা গেছ।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে  রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় সরকার পতনের পর চলতি আগস্টে ৬৪ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

জানা গেছে, গত দুই ঈদ ঘিরে এপ্রিল মাস থেকে টানা তিন মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এলেও জুলাই মাসে সেটা কমে যায়। নেমে আসে দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে।

মূলত, শেখ হাসিনা সরকারের ছাত্র-জনতা গণহত্যার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে রেমিট্যান্স না পাঠানো প্রচারণা চালিয়েছে অনেক প্রবাসী। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন।  তাছাড়া সংশ্লিষ্টদের তরফ থেকেও তাদের সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতে বৈধপথে আরও বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯০ কোটি, জুন মাসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী গত মাস শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১ আগস্টে এসেও সেটা একই অবস্থায় থাকে। কিন্তু ২৮ আগস্টে দেখা গেছে, সেটা কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ৫৯ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর