ভারতের মণিপুর রাজ্যে টানা কয়েকদিন ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে। দুই গোষ্ঠীই রকেট ও ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের অস্ত্র পর্যালোচনা করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক সংস্থার জানিয়েছে, এ রাজ্যে বহুল ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগই চীন ও রাশিয়ার তৈরি।
এদিকে নতুন করে দুই সম্প্রদায়ের ছড়ানো সংঘর্ষে শঙ্কিত ভারত সরকার। কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে গত বছরের মে থেকেই উত্তপ্ত মণিপুর। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরও সেখানকার পরিস্থিতি বেসামাল।
ওদিকে অস্থিতিশীলতার সুযোগে মণিপুরের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হয়েছে অন্তত ৪ হাজার অস্ত্র। ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের হাতে রয়েছে এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ। এর বাইরে দুই সম্প্রদায়ের অস্ত্র ভাণ্ডারে জার্মানির তৈরি হেকলার অ্যান্ড কোচ, আমেরিকার কোল্ট এ-আর-ফিফটিন, এম-সিক্সটিন, এম-ফোর-এ-ওয়ান এবং চীনা এ-কে-ফিফটি সিক্স রাইফেল রয়েছে।
শুধু রাইফেল নয়, এদের অস্ত্র ভাণ্ডারে আছে বিধ্বংসী বোমা, ড্রোন, হ্যান্ড গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, মর্টার শেল ও ট্যাংক বিধ্বংসী নানা অস্ত্র। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে