সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে গণধোলাই বা পিটুনির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় আক্রান্তদের অনেকে মারাও যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমলোচনা কম হচ্ছে না, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এ অবস্থায় গণপিটুনি বা মব জাস্টিসের নামে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে- গণপিটুনির নামে মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ বদ্ধপরিকর। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে তাকে। কিন্তু কোনভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
পুলিশ সদরদপ্তর তাদের বার্তায় বলেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পুলিশ। কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচারের বিধান রয়েছে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দেশের সব সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে পুলিশ।
ওদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার মব জাস্টিস-মব কিলিং সমর্থন করে না। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীতে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনায় ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী আটজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এবং বহিষ্কারের ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের, সেটি কিন্তু বিবেচনায় আসছে না।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে