কষ্ট হবে নিত্যপণ্য কিনতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত জুলাই আগস্ট- এ দুই মাসে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায়  অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুইয়ের প্রভাবে দেশের জিডিবির প্রবৃদ্ধির গতি কমবে, দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক শতাংশে। তবে আরও খারাপ খবর হলো প্রবৃদ্ধি কমলেও মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে, মূল্যস্ফীতির হার আবার দুই অঙ্কের ঘরে উঠতে পারে, ১০ শতাংশে দাঁড়াবে। আর মূল্যস্ফীতি বাড়লে নিত্যপণ্য কিনতে সাধারণ মানুষকে কষ্ট পেতে হবে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জন্য জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে এ আভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এডিবি তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সেপ্টেম্বর সংস্করণে এমন আভাস দিয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে এডিবি বলেছিল, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ হবে।  আর মূল্যস্ফীতি শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে বলছে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে চাহিদা কমবে বলেও আভাস দিয়েছে এডিবি। বলেছে, পণ্য জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া এবং টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি। কিন্তু আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে।

রাজস্ব আর্থিক নীতিতে কঠোরতা আছে এবং সেটা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছে এডিবির। সংস্থাটি আরও বলছে, চলতি অর্থবছরে ক্রয় বিনিয়োগ আরও কমবে। নেতিবাচক ঝুঁকি থাকায় সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস অত্যন্ত অনিশ্চিত। এসব ঝুঁকির কারণ হিসেবে বলছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর্থিক খাতের দুর্বলতা।

রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সুদ টাকার বিনিময় হার যথাযথ নীতির মাধ্যমে স্থিতিশীল করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছে এডিবি। সংস্থাটি আরও বলছে, ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক হিসাবের ওপর চাপ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি বিনিয়োগের ধীরগতির কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয় দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এটা ছিল দশমিক ৮২ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষকে চড়া দামে বাজার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ- ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্ট মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমলেও এখনো ১০ শতাংশের ওপরে আছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১১ শতাংশের মতো। গত অর্থবছরের প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে শতাংশের কাছাকাছি ছিল। চলতি অর্থবছরেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর