পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে জোর করে তার পদত্যাগের আবেদনে সাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে পদত্যাগের কারণ শারীরিক অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সামিউল ইসলাম, পাতি সোহাগসহ কয়েকজন। তারা আগে থেকেই কাগজ তৈরি করে রেখেছিল, আমি বোদা বাজার থেকে চন্দনবাড়ি গেলে পরিষদে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ধাক্কাধাক্কি করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান পরিষদে এসে নিজেই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে গেছেন। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। তাছাড়া ইউপি সদস্যসহ ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা এনে স্থানীয় সরকার বিভাগসহ কয়েকটি দপ্তরে নাশিল দিয়েছেন।
চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের সচিব শরিফুল ইসলাম জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে ফোনে বলেন- চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছে। পরে আমিসহ তিনজন উপজেলা নির্বাহী অফিসে পদত্যাগ পত্রটি জমা দিয়ে এসেছি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যানের বিষয়টি। তবে কোন কাগজ হাতে পাইনি। সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম মারেয়া মহালয়ার প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে