নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লায় এক হিন্দু পরিবারে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় বাড়ির গৃহকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন। তার দাবি, বিএনপির স্থানীয় এক নেতার ইন্ধনে তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তায় ভুগছেন। নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টদের কাছে নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী হলেন- মদন শর্মা চাঁচকৈড় বাজার পাড়ার সাধন শর্মার ছেলে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন একই মহল্লার মৃত আছের সরকারের ছেলে দুলাল সরকার, তিনি গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে মদন শর্মা বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুক লাইভে এসে চাঁচকৈড় বাজারে নীরব চাঁদাবাজির বিষয়টি তুলে ধরেন। দুলাল সরকারের নাম উল্লেখ করে লাইভে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে হলে আগে মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন।
মদন শর্মা জানান, লাইভের পর বিএনপি নেতা দুলাল সরকারের অনুগত মিন্টু জামাদার ও মিলনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধদল মদনের বাড়িতে হামলা চালায় ও তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এদিকে ঘটনায় পরদিন মদন শর্মা থানায় লিখিত অভিযোগ করতে এলে থানার মধ্যেই তিনি আরেক দফা হামলার শিকার। এসময় দুলাল সরকার নিজে তাকে মারধর করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু দুলাল সরকার ও তার লোকজনকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মদন শর্মার স্ত্রী শ্যামলী রানী বলেন, তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। তিনি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেন।
দুলাল সরকার বলেন, মদন শর্মা আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু মাদকাসক্ত মদন শর্মাকে ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে তারা এমন হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন,একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে