জমি-বাড়ি-গাড়ি সবই করেছেন কাস্টমের মজিবর

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
০৫ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা কাকরাইল কাস্টমস রিস্ক মেনেজমেন্ট থেকে সম্প্রতি অবসরে গেছেন মজিবর রহমান। একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও বিঘা-বিঘা জমিসহ নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। কেবল চাকরি করেই মজিবর এখন বনে গেছেন টাকার কুমির। দুদকসহ অন্যান্য দফতরের কাছে তার অঢেল সম্পদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, মজিবর রহমানের ৫০-৫৫ বিঘা জমিতে চা বাগান রয়েছে।  ঢাকার টুঙ্গি এলাকায় রয়েছে তার বহুতল ভবন, পঞ্চগড় পুরাতন ক্যাম্প এলাকায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের মালিক তিনি। এছাড়া ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি।বড়কামাত এলাকায় এক বিঘা জমির উপর নির্মাণ করে দিয়েছেন বিশাল আকারের মসজিদ।

মজিবরের স্ত্রীর দিলরুবা আক্তার তার সন্তান মুফরাদ রহমানের নামে জমির কিছু ফিরিস্তি হাতে এসেছে এ প্রতিনিধির কাছে। এসব সম্পদের উৎস নিয়ে  কানাঘুষা রয়েছে এলাকায়। তবে কানাঘুষা যখন শুরু হয়, তখন থেকেই জমি বিক্রি করা শুরু করেছেন তিনি। গত এক বছরে তিনজনের নামে অন্তত ১০টি জমি বিক্রির দলিল করা হয়েছে।

এলাকার লোকজন বলেছেন, এইচএসসি পাশ করে মজিবর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে পিএ পদে ৯০- দশকে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পান, রাতারাতি তার সম্পদ বাড়তে থাকে। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার বড় কামাত এলাকার কৃষক কমির উদ্দিনের ছেলে। চার ভাই তারা। তার বাবার ৩০-৩৫ বিঘা জমি ছিল। এতে একজনের ভাগে -১০ বিঘা জমি পাওয়ার কথা বলে জানান তারা।

সরেজমিনে মজিবর রহমানের চা বাগানে কথা হয় বাগানের তত্তাবধায়ক আমিনুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ৫০-৫৫ বিঘা জমিতে চা বাগান আছে। আর কিছু জমিতে অন্য আবাদ করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় অনেকে ঢাকায় তিন বাড়ির কথা জানালে মজিবরের ভাতিজা মাসুদ রানা বলেন,তিনটি না একটি বাড়ি আছে ঢাকায়।

স্থানীয় মতিয়ার রহমান বলেন,মসজিদটি মজিবর তার টাকায় নির্মাণ করে দিয়েছেন।আর কেউ কোন টাকা দেয়নি। মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলাম বলেন, ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ লোক একসাথে নামায আদায় করা যাবে মসজিদটিতে।

মজিবর রহমান জানান,আমার যেসব সম্পদ আছে, সেগুলো আয়কর ফাইলে দেখানো আছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর