শেখ হাসিনা সরকারের সময় সিন্ডিকেটের কারণে দেশে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে নিত্যপণ্যের বাজার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তার সরকারের পতনের দুই মাসেও বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ডিম, মুরগি, মাছ, সবজি, ভোজ্যতেল— সবকিছুর দামই চড়া। সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও কোথাও সেটা মানা হচ্ছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও প্রত্যাহার করলেও তার সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তা। নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকায় নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে আর কারসাজি করতে দিতে চায় না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এ টাস্কফোর্স দ্রুতই মাঠে নামবে।
টাস্কফোর্সের বিষয়টি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। রোববার (৬ অক্টোবর) ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, অনেকগুলো পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, টানা বৃষ্টির প্রভাবে গেল রোববার কাঁচামরিচ কেজিতে এলাকাভেদে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা ছুঁয়েছে। সব ধরণের শাক-সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে। বাজারে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না বেশিরভাগ সবজি।
জানা গেছে, ভোজ্য তেল ও ডিমের মতো কিছু খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নির্দিষ্ট হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি। বলা হচ্ছে, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সাধারণ মানুষ করছেন, বর্তমান সরকারকে বেকায়দা ফেলতে এখনো শেখ হাসিনার সমর্থক ব্যবসায়ীরা নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা। আড়তে কারসাজি হচ্ছে বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। সেই সঙ্গে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতসহ আইনের আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে