পঞ্চগড়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ৫০ গ্রামের মানুষ

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
০৭ অক্টোবর ২০২৪

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কুচিয়ামোড় এলাকার মামা-ভাগিনা নদীর উপর সেতুর সংযোগ সড়ক প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে কয়েক মাস আগে। সেটা মেরামত না করায় যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৫০ গ্রামের মানুষ  চলাচল করছে। যে কোন মুহুর্তে সেতুটির ভাঙা স্থানে যানবাহন উল্টে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীরা জানান, চলতি বছরের বর্ষার শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। পাঁচ ফিটের মতো জায়গা আছে, যেটা দিয়ে কোন মতে রিকশা-ভ্যানসহ মানুষ পারাপার হয়।এ ছাড়া রাতে চলাচলের সময় রিকশা, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকে।

সরেজমিনে জানা যায়- কুচিয়ামোড়, কৈকুড়ি,ছোবারভিটা,মন্ডলপাড়া,গুয়াবাড়িপাড়া,চৌধুরীহাট,ডাঙ্গাপাড়া,উকরাবাড়ি বরমতল,গেদেরগুড়ি,ঘাগড়া খোচাবাড়ি,যুগীপাড়াসহ ৫০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে।  ভাঙার পর সেতুর সংযোগ সড়কে এখন পাঁচ ফিটের মতো জায়গা অবশিষ্ট আছে, এটুকু ভেঙে গেলে ছয় কিলোমিটার সড়ক ঘুরে  চলাচল করতে হবে।

কুচিয়ামোড় এলাকার আলতাফ হোসেন জানান, কোনমতে লোকজন পারাপার হলেও কৃষিপণ্যসহ যানবাহন নিয়ে বাজারে যেতে হয় ছয় কিলোমিটারেরও বেশি পথ ঘুরে। প্রতিদিন  স্কুল, মাদ্রাসা কলেজের শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।

বান্দেরপাড় মসজিদের মুয়াজ্জিন সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর দুইপাশে ৫০ টির মতো গ্রাম আছে। মানুষগুলো সেতু দিয়ে আসা-যাওয়া করে। সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে পাঁচ ফিট জায়গা আছে, এটুকু ভেঙে গেলে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন জানান, সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমাদেরকে মানুষের কথা শুনতে হয়। কিন্তু বরাদ্দ না পেলে আমরা কি করব। এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান জানান,  এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। চেষ্টা করতেছি সেখানে প্রটেকশন ওয়াল দেওয়ার। বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর