বেলতলায় দেবীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ষষ্ঠী পূজা, সঙ্গে ঢাকের বাদ্য ও শঙ্খধ্বনি। এদিকে পূজা নির্বিঘ্ন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পূজা ঘিরে কোনো ঝুঁকি নেই বলে আগেই জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলো আইপি ক্যামেরার (ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা) মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও থানা থেকে তদারকি করা হচ্ছে।
আইপি ক্যামেরা দিয়ে তদারকের বিষয়টি মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিকদের জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা ঘিরে পুলিশ ও র্যাবের টহল থাকছে। এবং গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ দল কাজ করবে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য জরুরি সেবাসংক্রান্ত হটলাইন ‘৯৯৯’ –এ বিশেষ দল কাজ করবে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকিতে আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। এতে খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোড়ায়। দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
এবার দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজার উদযাপন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী, শুক্রবার মহাঅষ্টমী আর শনিবার হবে মহানবমীর পূজা। রোববার দশমী বিহিত পূজা শেষ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে