গত দুই মাস ধরে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বেড়েছে দেশে। এতে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস (মোট) রিজার্ভ দুই হাজার ৪৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। আর আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ডলার।
একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। সাধারণত ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয় একটি দেশের।
এদিকে আইএমএফ পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য হচ্ছে ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (ব্যয়যোগ্য) রিজার্ভ আছে এক হাজার ৪৭১ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে মেটানো যাবে না তিন মাসের আমদানি ব্যয়।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে। গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬ এর বাইরে প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব আছে, এটা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এর বাইরে প্রকাশ করা হয় না।
দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা দিলেও চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে গেল সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। যদিও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এখন অনেকটা বন্ধ আছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ব্যাংকখাত সংস্কার, অর্থপাচার প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থাপনা, আয়কর ও ভ্যাট সংস্কারে নতুন করে তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ ইতিবাচক ভূমিকায় রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে খাতসংশ্লিষ্টরা।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে