দেশে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজার সিন্ডিকেট শনাক্তে কাজ করছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, সিন্ডিকেটের বিষয়ে যদি কোনো তথ্য থাকে, কারা দাম বাড়াচ্ছে এবং একচেটিয়া ব্যবসা করছে- সেটা আমাদের জানান।  অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ থাকার কথাও জানানো হয় প্রেস বিফ্রিংয়ে। বলা হয়, পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে  ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।

পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিফ্রিংয়ে জানানো হয়, ডিমের দাম বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ডিম আমদানিতে শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। ডিমের দাম সহনীয় রাখতে এখন সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ডিম কিনবেন পাইকাররা। ভোজ্যতেল আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ হ্রাস এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত  হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খোলা বাজারে ((ওএমএস) পণ্য বিক্রয়  কর্মসূচির আওতায় আলু, পেঁয়াজ ও সবজিসহ কৃষিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি শুরু করছে। বর্তমানে ২০টি স্থানে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।  বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ওএমএস  কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা এবং বিভিন্ন প্যাকেজে সবুজ সবজি বিক্রি হচ্ছে।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে