তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা হয়েছে।  সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেছেন  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রিভিউ করার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন  বলেন, কোন গ্রাউন্ডে আবেদন করা হয়েছে এবং আবেদনে কী বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।

এর আগে আপিল বিভাগের সে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য গেল ২৫ আগস্ট আবেদন করা হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি সমন্বিতভাবে আবেদন করেন। অন্যরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া জাহরা রহমান।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের আগস্ট এ রিট খারিজ হয় হাইকোর্টে। সেই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এর পরের বছর ২০০৫ সালে আপিল করেন রিটকারীরা। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দেন। কিন্তু লিখিত রায়ে দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে, সেটা আর ‍ উল্লেখ করা হয়নি। এ রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তিসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন  পাস হয়, আর জুলাই -সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর