শেষ ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সবশেষ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারেও আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা ও  চট্রগ্রাম- দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পতন হয়েছে সবকয়টি মূল্যসূচকেরও। এর মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৩ প্রতিষ্ঠানের, আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর মূল্যসূচকগুলোর মধ্যে প্রধান ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে, বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক  ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩০ পয়েন্টে আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট ৩০৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে  লেনদেন বেড়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট কমেছে। সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১টির, দাম কমেছে ১৫৬টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে