স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোটা ভুল হয়েছে বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.
জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শনিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই
মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতা দিবসে মোদি বিরোধী বিক্ষোভকালে আন্দোলনরতদের ওপর পুলিশের হামলা ও
গুলির ঘটনায় ৫জন নিহত এবং শত শত আহত হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের
আয়োজন করে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’।
মোদি প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, মোদি সাহেব বলেছেন তিনি ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জেলে ছিলেন। কেন জেলে ছিলেন? পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন নাকি
উনি? আর কোনও ভারতীয় নেতা-তো একাত্তর সালে জেলে যাননি৷ সত্যি কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে
গেছে। উনি আজকে আবিষ্কার করছেন এখানে জঙ্গি। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ
করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে? সুতরাং, এসব বিষয় থেকে আপনি সরে আসুন প্রধানমন্ত্রী৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে আপনি সবার থেকে বিচ্ছিন্ন। এমনকি
আপনার বোন শেখ রেহানা থেকেও বিচ্ছিন্ন। আপনি ভারতের অনুগত দাসে পরিণত হয়েছেন।
এখন আপনার যদি প্রস্থানের সময় হয়, তখন কে আপনার পাশে দাঁড়াবেন? হয়তো শেখ রেহানাই
থাকবেন। অথচ মোদির হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে শেখ রেহানার হাতকেও আপনি কালিমাযুক্ত
করে দিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যেদিন সপরিবারে
হত্যা করা হয়েছিল, সেদিন আওয়ামী লীগের এই দুর্র্ধষ নেতারা কোথায় পালিয়ে গিয়েছিলেন,
কোন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছিলেন, খোঁজ পাওয়া যায়নি। একমাত্র কাদের সিদ্দিকী প্রকাশ্যে প্রতিবাদে
এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রিয় নেতারা যেমন আব্দুল মালেক উকিল কী বলেছিলেন—
জালেমের হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী
জোনায়েদ সাকি, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ।
এমকে