পঞ্চগড়ে ১৮ মাসে ভিডব্লিউবির এক ছটাক চালও পাননি ১৫০ কার্ডধারী

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
২২ অক্টোবর ২০২৪

 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে গত ১৮ মাসে ভিডব্লিউবির এক ছটাক চালও পাননি ১৫০ জন কার্ডধারী গরীব মানুষ। অথচ গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রায় তাদের অনুকূলে ৮১ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমু এ চাল বিতরণ না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিতে দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমু পলাতক।  এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল মজিদ। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই আগস্ট মাসের ভিডব্লিউবির চাল বিতরণের সময় প্রায় তিনশ বস্তা চাল উদ্বৃত্ত দেখতে পান। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সহযোগিতায় অনলাইন থেকে তালিকা নিয়ে কার্ডধারীদের ডেকে এনে চাল বিতরণ করেন।

জানা গেছে, মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিডব্লিউবির চাল গরিব দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রতি কার্ডধারীকে মাসে ৩০ কেজি হারে চাল দেওয়া হয়। দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে এ কর্মসূচির আওতায় ৭৩৮ জন কার্ডধারী রয়েছেন। খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে চেয়ারম্যান পরিষদ থেকে চাল বিতরণ করবেন। সঠিকভাবে চাল বিতরণের জন্য ট্যাগ অফিসার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে। এ চাল বিতরণে মাসের পর মাস চেয়ারম্যান অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসলেও তার কোন খবর রাখেননি  ট্যাগ অফিসার।

ভুক্তভোগী সরকার পাড়া এলাকার আমেনা বেগমের স্বামী নুর আলম হক বলেন,আমার নাম চালের তালিকায় ১৮ মাস ধরে আছে। অথচ আমি কিছুই জানি না। কেউ এসে জানায়নি। সম্প্রতি আমাকে বলা হয়, পরিষদে আমার চাল রয়েছে।পরে দুই বস্তা চাল পেয়েছি।

ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যান পলাতক থাকার আগে থেকেই এসব আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও তিনি ভিজিডির চাল আত্মসাত করেছিলেন।

দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, গত জুলাই আগস্ট মাসে চাল বিতরণের জন্য চাল তোলা হলেও কার্ডধারীরা চাল নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি। পরে আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করে চাল দিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর