আইন লঙ্ঘন করে পঞ্চগড়ে সদর উপজেলায় আব্দুল হান্নান শেখ নামের একজন শুড়িভিটা এলাকায় তার নিজের কেনা ১২-১৫ বিঘা দুই-তিন ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করেছেন। সেই জায়গায় এখন চা কারখানা নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল হান্নান শেখ পঞ্চগড়ের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। শুড়িভিটা এলাকায় তিনি ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছেন চা-কারখানা করার জন্য। আবাসিক এলাকায় চা কারখানা হলে পরিবেশ দূষন হবে। চা কারখানা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান তারা।
জানা গেছে- ফসলি জমি, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার জমির উন্নয়ন কর আদায় করেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে সদর উপজেলায়। পূর্বানুমতি ছাড়া জমির শ্রেনি পরিবর্তন করা হলে শ্রেনি পরিবর্তনকারীকে তার নিজ দায়িত্বে জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের এ ধারায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইন লঙ্ঘন করলে পাঁচ বছরের দন্ড বা সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
আব্দুল হান্নান শেখের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ কেটে কেটে দেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি জানান, কৃষিজমি ভরাট করে বাড়ি কিংবা অন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কেউ না নিয়ে থাকলে অপরাধ হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে অবশ্যই খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
বিডি২৪অনলাইন/ সম্রাট হোসাইন/ সি/এমকে