নির্বাচনে‘না ভোটের’ বিধান পুনরায় চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। তাদের মতে, উন্নত গণতান্ত্রিক চর্চা এগিয়ে নিতে অবশ্যই ‘না ভোট’- এর বিধান চালু রাখতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে লিখিত আকারে এ প্রস্তাব দিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘না ভোট’ বিধান নাগরিকদের ক্ষমতায়নকে সংহত করবে। এ ব্যবস্থা প্রকৃত নেতৃত্ব বাছাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। কেননা না ভোটের পরিমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
‘না ভোট’ সঠিক প্রার্থী বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করবে বলেও মনে করেন ইসি কর্মকর্তারা। তারা আরও জানান, নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর এ বিধার রীতিমতো চাপ ফেলবে, যাতে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা এবং কাজের মান উন্নত করে তারা। যদি ভোটাররা দেখেন- কোনো প্রার্থীই যোগ্য নয়, তবে তারা ‘না ভোট’ দিয়ে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারে। এটা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থীদের দায়িত্বশীল হওয়ার উৎসাহ করবে।
প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থায় ‘না ভোট’ না থাকার অসুবিধা প্রসঙ্গে তারা বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় যোগ্য প্রার্থী না পেলেও যে কোনো একজন প্রার্থীকে বাছাই করতে হয় ভোটারদের। এটা এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র, সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিবন্ধক। তাই না ভোটের বিধান চালু হলে এ পরিস্থিতি থেকে ভোটাররা যেমন মুক্তি পাবে। তেমনি এটা তাদের জন্য প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে