২৮ লাখ কো‌টি টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাণিজ্যের নামে দেশ থেকে অর্থপাচার করা হয়েছে। তাদের আমলে প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, মোট পাচার করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা। কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও চার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর জন্য সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি অর্থপাচার বন্ধ করার জন্য  রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ব্যবসাকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এসব বিষয় জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক . ইফতেখারুজ্জামান।

শনিবার ( নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার পল্টনেপাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়শীর্ষক সেমিনারে তথ্য জানানো হয়। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এ সেমিনার হয়।

এদিকে সেমিনারে বক্তারা জানান, দেশ থেকে পাচার হওয়া মোট অর্থের পরিমাণ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। বে ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হওয়ার কথা জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি অর্থ পাচারে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক খাতকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়ার পেছনে মূল দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা।

সেমিনারে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি অর্থ পাচার করা হয়েছে।  এ ক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ব্যবসায়ী- সবাই সহায়তা রেছে। দেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে বলে বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়। বিদেশি সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বছরে পাচার হওয়া অর্থের ধ্যে বিলিয়ন ডলার আমদানি-রপ্তানি মাধ্যমে চলে গেছে।

তাছাড়া এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের একটা উৎস বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাদের হাত হয়ে বছরে বিলিয়নের মতো অর্থ পাচার হচ্ছে। এর বাইরে বিভিন্ন দেশে কাজ বা পড়ালেখার জন্য এ দেশ থেকে যাওয়া মানুষদের বড় একটি অংশ জিম্মি হয়ে ভিসা কাজের জন্য আর্থিক চুক্তি করে যায়। মাধ্যমে . বিলিয়ন ডলার চলে যায়। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং হুন্ডিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে।

শুধু মুখের কথায় অর্থপাচার রোধ বে না বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। বলেন, অর্থপাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, বিএফআইইউএসব প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পথনকশা আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু আইনেরও প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর