দেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ পেলে অনুষ্ঠানের পেছনে কারা আছে- সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিতে হবে। বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা; কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে ওই অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, ব্যানার বা লিফলেট বা পতাকা বা অন্যান্য যে কোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টির মতো কোনো উপাদান আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করতে হবে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নিতে হবে। নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বা ব্যানার বা চিঠি বা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বা সাজ-সজ্জা বা সার্টিফিকেট বা ট্রফি-মেডেল বা স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা; এ সব ডকুমেন্ট বা স্মারকে কোনো আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে, সেটা নিশ্চিত করা; সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বাতিল ঘোষণা করা দিবস যাতে পালিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা; সেই সঙ্গে বাতিল ঘোষিত দিবসের পূর্ববর্তী বছরগুলোর সব স্মারক বা ক্রেস্ট বা ছবি বা স্যুভেনির ইত্যাদি সব অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; আনুষ্ঠানিক প্রতিটি সভা বা অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুতপূর্বক পাঠ করতে হবে। সেই সঙ্গে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা বা স্লোগান বা জয়ধ্বনি বা বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে। এবং গুজব থেকে নিজে এবং নিজ অধিক্ষেত্রের সব সহকর্মীকে দূরে রাখা নিশ্চিত করা।
বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা এবং অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার কম হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদেরকে সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ব্যতিক্রম ঘটনায় বিব্রত হওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। তাই এসব সমস্যা এড়াতে এসব দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে