পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম সুজনসহ ১৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগীর বাবা মনু।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন- পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা ও মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারী, জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, পঞ্চগড় পৌর আ. লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর উজ্জল প্রমূখ। মামলায় নাম না জানা আসামী রয়েছে ১৫০ জন।
মনু জেলা সদরের উত্তর দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মামলা সূত্রে জানা যায়, মনুর ছেলে আলামিন পেশায় রিক্সা চালক। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার সম্পৃক্ততা ছিল। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন আলামিন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কতিপয় আসামীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনে হিচেড়ে নিয়ে যায় তারা। তখন থেকেই আল আমিনের সন্ধান নেই।
মামলার বাদী মনু বলেন, আল আমিনের সঙ্গে সেদিন যারা ছিলো, তাদের সঙ্গে কথা বলেই মামলা করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতে, আমি ধারণা করছি আমার ছেলেকে হত্যার পর তার লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম মাসুদ পারভেজ।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে