এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করছে দেশের বেশ কিছু ব্যাংক। এতে সুনাম নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের। এ অবস্থায় আমদানি দায় পরিশোধে বিলম্বকারীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ এলসির দায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ সময়ে দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেটার কারণ জানাতে হবে। তাছাড়া এখন থেকে এলসির দায় বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাও শাস্তির আওতায় আসবে। বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, করোনাকালে আমদানি ঋণপত্র বা এলসি দায় পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল। এখন করোনার প্রকোপ না থাকলেও কিছু ব্যাংক দায় পরিশোধে বিলম্ব করছে। এ তালিকায় অন্যতম আছে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো।
তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মতো মেয়াদোত্তীর্ণ এলসির দায় রয়েছে। এতে শুধু দেশের সুনামই নষ্ট হচ্ছে না, বরং বেড়ে যাচ্ছে আমদানি এলসির খরচ। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব আমদানি দায় পরিশোধ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ব্যাংকের এমডিদের কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে প্রয়োজনে ডলার কিনে পরিশোধ করতে হবে দায়। আর নির্ধারিত সময় কোনো ব্যাংক দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে। এখন থেকে নতুন করে কোনো ঋণপত্র খোলার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করে খুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে এলসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি জানায়, এখন থেকে এলসি খোলার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। দায় পরিশোধের অর্থ না থাকলে কোন উৎস থেকে অর্থায়ন হবে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই মেয়াদোত্তীর্ণ এলসি গ্রহণযোগ্য হবে না। সময়মতো পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে লেনদেনের জন্য দায়ী কর্মকর্তার জবাবদিহিতার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে