অধিভূক্ত ৭ কলেজের ২ লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। শুধু তাই নয় নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। তাই এসব কলেজের অধিভুক্তি বাতিল এবং নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়টা আজকের নয়।  এ নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে আন্দোলন হচ্ছে। সে সময়  এ আন্দোলনে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলামও অংশ নিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সাত কলেজের জন্য আলাদাভাবে ভবন নির্মাণ হবে। এটি একটি অযৌক্তিক বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ। সেখানে আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই সাত কলেজের প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ঢাবির শিক্ষকরা সাত কলেজের খাতা মূল্যায়ন, কারিকুলাম, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ভাইভা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবহেলার শিকার হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং ফল প্রকাশেও বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং গণনার ক্ষেত্রেও অধিভুক্ত সাত কলেজকে বিবেচনা করা হয়। বিধায় ঢাবির অবস্থান নিম্নমুখী হচ্ছে। তাই সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাই, যেন দ্রুত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হয়। আর এ দাবি বাস্তবায়নে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া সংবাদ সম্মেলনে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন করা হবে।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে