বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ, অকার্যকর করতে বিশাল অর্থে বিশ্বব্যাপী এবং দেশের প্রতিটি স্থানে, প্রতিষ্ঠানে এক মহাপরিকল্পনা প্রতি মুহূর্তে কার্যকর রয়েছে। তাদের একটি বড় প্রচেষ্টা হচ্ছে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিষয়টি জানান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
দেশের মানুষকে সাবধান ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে আরও বলেন, পতিত সরকারের নেতারা যারা এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে নিয়ে গেছে, সেই অর্থে বলীয়ান হয়ে দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। তাদের কিছুতেই সফল হতে দেবেন না, তারা সফল হওয়া মানে জাতির মৃত্যু। জাতি হিসেবে আমাদের অবসান। তাই সাবধান থাকুন। তাদের সব হীন প্রচেষ্টাকে ঐক্যের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দিন। যেভাবে তাদের বন্দুকের গুলিকে, আয়নাঘরকে, প্রতি পায়ে তাদের অনাচারের শিকলকে নস্যাৎ করেছিলেন। এ ব্যাপারে সবাই একমত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বাংলাদেশকে একটি পরিবেশবান্ধব এবং জীব বৈচিত্র্যময় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এটি তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের সবারই আকাঙ্ক্ষা। সেই লক্ষ্যে আমি প্রথমেই একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ নিয়েছি। সচিবালয়ে প্লাস্টিকের পানির বোতল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি। সুপারশপগুলোতে পলিথিনের শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দশকে যে পরিমাণ নদী দূষণ হয়েছে, সেটা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, গত ১০০ দিনে আরও অনেক কল্যাণমূলক কাজ করেছি আমরা, যা এখানে স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। নিজ নিজ কাজের বিস্তারিত বিবরণ নিজেদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের সব কাজের বিবরণ যেন জনগণ জানতে পারে, এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নিজের দপ্তরকেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, সে কথাও বলেন ড. ইউনূস ।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে