চাহিদা পূরণে ফাঁকা জায়গা বা বিল্ডিংয়ের ছাদে নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। সরকার নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩০-৪০টি নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উত্তরাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা। সেখানেই এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হয়। এ জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন যেসব প্রকল্প হবে, সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গা বা ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা গেলে সেখানের বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
তিনি আরও জানান, সূর্যের আলো কিনতে হয় না। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গ্যাস, কয়লা কিনতে হয়। রংপুর বিভাগে থাকা সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে চাইবো- ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন আপনারা। তাহলে কারও ওপরে নির্ভর করতে হবে না আর।
বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ২০১০ সালের এ আইন দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত ছিল। এ আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এ আইন আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না- এ দুটি ধারা বাতিল করেছে। গত বুধবার এ আইন পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। আদালত থেকে আদেশটা এমন এসেছে, যে প্রকল্প চলমান সেটা বন্ধ করা যাবে না। যেমনটা বিদ্যুৎ বন্ধ করা যাবে না। তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে এটা পূর্ণ পরীক্ষা করতে পারবে। এটাতে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়ে থাকলে তা দেখা হবে।
এগুলো একটি চুক্তি স্মরণ করে দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চুক্তি বাতিল করতে গেলে আদালতে যেতে হবে। এসব চুক্তি দেশি-বিদেশি আইনজীবীদের দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার, রেলওয়ের পশ্চিম বিভাগের মহাপরিচালক মামুনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে