আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে আরেকটি পরীক্ষামূলক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে রাশিয়া। তবে এ অস্ত্র ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা পর্যালোচনায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। খবর সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা। এর আগে গত মাসের শেষ দিকে ইউক্রেনের দেনিপ্র শহরে প্রথমবার তাদের ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া।

মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে,  সম্ভাব্য এ হামলা মূলত ইউক্রেনে ত্রাস সৃষ্টি করার আরেকটি রুশ প্রচেষ্টা, তবে সেটা ব্যর্থ হবে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তাৎক্ষনিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে বলেছিলেন, ইউক্রেন দূরপাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে থাকলে রাশিয়া আবার ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। সেটা সম্ভবত কিয়েভের “সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রগুলো” লক্ষ্য করে।

ওদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেন বুধবার সকালে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তাগানরোগে একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ওই ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ার পর কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর এ আক্রমণের জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

পশ্চিমা কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, ওরেশনিক বৈশিষ্ট-  একসঙ্গে একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং একই সময় ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এর  সক্ষমতা সাধারণত দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রর থাকে।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওিই কর্মকর্তা এ ক্ষেপণাস্ত্রর কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেন, এগুলোর ধরন হচ্ছে পরীক্ষামূলক এবং রাশিয়ার হাতে সম্ভবত গুটিকয়েক আছে। এ ক্ষেপণাস্ত্রর বিস্ফোরক ক্ষমতা ইউক্রেনে ব্যবহার করা রাশিয়ার অন্য কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে কম।

বিডি২৪অনলাইন/আইডি/এমকে