বিশ্বব্যাংক
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি ও সবচেয়ে বড় দূষণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলে মনে করছে বিংশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, দেশের প্রতিটি সেক্টরে জলবায়ুর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দূষণের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য খাত, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা এবং সবুজ জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশকে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসের এক প্রেস বিজ্ঞিপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সংস্থাটির বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে এ তিন খাতে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি ডলার সমান ১১৯ টাকা ৫৬ পয়সা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ হাজার ১৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ঋণের পূর্বশর্ত হিসেবে মধ্য-মেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে একীভূত মূল খাতের জন্য বহু-বছরের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম নির্দেশিকা নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে দারুণ ভূমিকা রাখবে নতুন এ অর্থায়ন।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫০ কোটি ডলারের ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’ এর মাধ্যমে দেশের সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা র জন্য সংস্কারে সহায়তা করবে।
তহবিলের ৩৭ দশমিক ৯ কোটি ডলার স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম খাতের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস সহজ করতে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এ ঋণ ব্যবহার হবে। ৫ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবে।
এ কর্মসূচি স্বাভাবিক প্রসব এবং সিজারিয়ান সেকশন ডেলিভারি- উভয় ক্ষেত্রেই মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমাতে সাহায্য করবে। জলবায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নারীদের জন্য এটা বেশি কার্যকর হবে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।
ওদিকে চট্রগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের জন্য ২৮ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রায় দুই লাখ নতুন পরিবারে পানির সংযোগ দেওয়া যাবে। পাশাপাশি নিম্ন-আয়ের এক লাখ মানুষ উন্নত স্যানিটেশন পরিষেবা পাবে। প্রকল্পটি এ অঞ্চলের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে ২০৩৫ সালের মধ্যে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন ওয়াশ সুবিধা দেবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে