পাবনার চাটমোহরে হত্যাকান্ডের শিকার প্রাথমিকের স্কুলছাত্রী কল্পনা খাতুনের মায়ের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী। রোববার (২২ ডিসেম্বর) কল্পনা খাতুনের মাকে নিজের অফিসে ডেকে এনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ইউএনও। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সাধ্যমতো তার পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে একজন ইউএনও হিসেবে মুসা নাসের চৌধুরীর কল্পনা খাতুনের মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে মি. চৌধুরীর প্রশংসা করছেন সাধারণ মানুষ। ফেসবুকে ইউএনও চাটমোহর পাবনা আইডি থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্টও দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কল্পনা খাতুনের মা তাসলিমা খাতুনের হাতে আর্থিক সহায়তা বাবদ ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন মুসা নাসের চৌধুরী। সেই সঙ্গে দিয়েছেন দুটি কম্বল। ভবিষ্যতে তাসলিমা খাতুনের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় ইউএনও জানিয়েছেন, পরিবারটির ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এটা ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের।
কল্পনা খাতুন উপজেলার চরমথুরাপুর গ্রামের আলাল হোসেনের মেয়ে। বছরখানেক হচ্ছে আলাল-তসলিমা দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটেছে। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে কল্পনা খাতুন ছিল দ্বিতীয়। তার ছোট ভাই প্রতিবন্ধি। কল্পনা খাতুন চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে কল্পনা খাতুনের লাশ পৈলানপুর এলাকায় একটি লিচু বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় এ হত্যার জট খুলেছে পুলিশ। আলোচিত এ হত্যাকান্ডে নুরুজ্জামান মল্লিক ওরফে নূর জামাল নামে একজনকে গ্রেফতার করার পর তার মুখ থেকেই হত্যার কারণ ও কিভাবে ভুক্তভোগীকে হত্যা করা হয়েছে- সেটা জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নেশার প্রভাবে কাম চরিতার্থের জন্য ভুক্তভোগীকে ওই বাগানে নিয়েছিল নূর জামাল। এরপর মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে লোক জানাজানি হওয়ার ভয়ে সেখানেই তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। আদালতে সে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে একাই কল্পনাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা।
নুর জামাল (১৭) চাটমোহর উপজেলার চর মথুরাপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মল্লিকের ছেলে। অভিযুক্ত সম্পর্কে ভুক্তভোগীর চাচা।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে