দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্তরে শিক্ষক নিয়োগে ভয়াবহ রকম দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে পঙ্গু হওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ক্রমাগত নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, ছাত্ররাজনীতির নামে দুর্বৃত্তায়ন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘উচ্চশিক্ষায় বৈশ্বিক মান: বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, এত অসুবিধা ও সমস্যার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো অনেক শিক্ষক আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের উচ্চপর্যায়ের গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শুধু রাজনৈতিক আলাপ হয়, মেধাবী শিক্ষকরা আড়ালে পড়ে থাকেন। কেন তাদের আড়ালে থাকা বা কোনঠাসা হয়ে থাকা তা জানতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বলেন, শিক্ষকদের আলোচনায় গবেষণা নয়, শুধু রাজনীতি থাকে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণগুলোকে আমলে নিয়েই এগোতে হবে আমাদের।
সম্প্রতি আন্দোলনের পর প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন- উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিল না। এ থেকেই বোঝা যায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন রাজনৈতিক দলীয়করণ হয়েছে- সরকার পরিবর্তনের পর সবাইকে চলে যেতে হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে