পুরোনা ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বেসরকারি ব্যক্তিদের প্রবেশের অস্থায়ী সব পাস বাতিল করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থেই এসব পাস বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ তিনদিনের মাথায় অস্থায়ী সব পাস বাতিল করা হলো। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পাস বাতিলের তালিকায় সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ছাড়া সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য) পাস বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
বাতিলকৃত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকায় ১৫ আব্দুল গণি রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে সরকারি ছুটিতে সচিবালয় বন্ধ ছিল। এদিন রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনটি অগ্নিকান্ড ঘটে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটা নিয়ে দেশের মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ আগুনকে পরিকল্পিত নাশকতা হিসেবে দেখছেন। এদিকে রহস্য উদ্ঘাটনে ৭ সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করেছে সরকার। ক্ষতি নিরূপণে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরদিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে রাস্তায় ট্রাকচাপায় সোয়ানুর জামান নয়ন নামে একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হন।
আগুনে ১০ তলা ভবনের প্রতিটি তলা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত প্রায় পুরোটাই পুড়েছে। এসব তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে