পৌষের আকাশে প্রায় সারা দেশে তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দেশজুড়ে অনুভূত হয়েছে কনকনে ঠান্ডা। সন্ধ্যা নামতেই আরও জেঁকে বসে শীত। এদিকে কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশার দাপটে রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চরম বিপাকে পড়েছেন ঘরের বাইরে কাজ করা মানুষ, বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। আর ভোগান্তিতে রয়েছে বয়স্ক, শিশুরা ও ছিন্নমূল মানুষ।
বেশি শীতের দাপট রয়েছে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে। চলতি জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের এমন তীব্রতা থাকতে পারে, তবে সূর্য উঠলে ঠান্ডা কম লাগবে— এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাদের হিসাবে, ইতোমধ্যে দেশের ১৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস বরাবরই শীতের মাস। এ মাসে ঠান্ডা কমার সুযোগ নেই। সূর্য উঠলে ঠান্ডা কম অনুভূত হবে, রোদ চলে গেলে বাড়বে—এমনই চলতে থাকবে।
এদিকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে শীত বেড়েছে রাজধানী ঢাকাতেও। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে, শুক্রবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনে এ তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেটা হয় অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
ওদিকে জানুয়ারির দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে