তিন জাতীয় নির্বাচন তদন্ত করবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জানুয়ারী ২০২৫

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেশে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এ তিন জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের অনিয়ম ত্রুটি চিহ্নিত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর কী কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটাও তদন্ত করবে সংস্থাটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন৷ বিগত নির্বাচনের অনিয়ম ত্রুটিগুলো সনাক্ত করে প্রতিবেদন ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে তাদের। নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলেছে সংস্থাটি।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের একাদশ ২০২৪ সালের জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে ব্যাপক বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে মনে করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। ফলে এক তরফা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জন, এরা আওয়ামী লীগের দলীয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবগুলো দল অংশ নেয়। কিন্তু রাতের ভোট বলে অভিহিত করা এ নির্বাচনে বিএনপি শরিকরা মাত্র সাতটি আসন পায়। এ ফলাফল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সন্দেহকে দৃঢ় করে তোলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমমনা দলগুলোকে বাইরে থাকায় আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়। এতে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করে দলটি।

এদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মাধ্যমে ইসি সংস্কারের পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে ওই তিন নির্বাচনে অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করার দাবি ওঠে। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনিয়ম খুঁজে বের করার দাবি জানায়।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা কি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা কমিশনকে অবগত করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্বলতা দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এমনটা যেন আর না হয়, সেজন্য আগাম সর্তক থাকতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার কর্মকর্তাদের বলেন, বিগত নির্বাচনের ত্রুটি সনাক্ত করে সেটা কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে। জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। বর্তমান সময়ে নির্বাচনি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে

তিন জাতীয় নির্বাচন তদন্ত করবে ইসি

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেশে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এ তিন জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের অনিয়ম ত্রুটি চিহ্নিত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর কী কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটাও তদন্ত করবে সংস্থাটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন৷ বিগত নির্বাচনের অনিয়ম ত্রুটিগুলো সনাক্ত করে প্রতিবেদন ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে তাদের। নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলেছে সংস্থাটি।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের একাদশ ২০২৪ সালের জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে ব্যাপক বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে মনে করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। ফলে এক তরফা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জন, এরা আওয়ামী লীগের দলীয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবগুলো দল অংশ নেয়। কিন্তু রাতের ভোট বলে অভিহিত করা এ নির্বাচনে বিএনপি শরিকরা মাত্র সাতটি আসন পায়। এ ফলাফল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সন্দেহকে দৃঢ় করে তোলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমমনা দলগুলোকে বাইরে থাকায় আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়। এতে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করে দলটি।

এদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মাধ্যমে ইসি সংস্কারের পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে ওই তিন নির্বাচনে অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করার দাবি ওঠে। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনিয়ম খুঁজে বের করার দাবি জানায়।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা কি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা কমিশনকে অবগত করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্বলতা দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এমনটা যেন আর না হয়, সেজন্য আগাম সর্তক থাকতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার কর্মকর্তাদের বলেন, বিগত নির্বাচনের ত্রুটি সনাক্ত করে সেটা কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে। জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। বর্তমান সময়ে নির্বাচনি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর