মধ্যবিত্তরাও চাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাড়তিই আছে। মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী দিনমজুরদের ওপর চাপ বাড়ছে। চাপে আছে মধ্যবিত্তরাও। বুধবার ( জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিং হয়।

উপদেষ্টা জানান, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে- এ কথা সবাই বললেও যেটুকু কমেছে, এটা কম বলা যায় না। করোনা মহামারি গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি একটি ক্ষতি হয়েছে। তবে সুশাসিত গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণ হতে পারলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া অসম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্প্রতিক রপ্তানিতে গতি ফিরেছে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহও আগের চেয়ে বাড়ছে। তবে ভোজ্যতেলে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে একই দিনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। ঘাটতি নেই নিজস্ব মজুদে এবং স্থানীয় উৎপাদনেও। এখন আমনের ভরা মৌসুম, ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে এ দামের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছি না আমরা।

রাজধানী ঢাকার বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে দেশব্যাপী স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি। এটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে আমাদের কাছে। কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

ওদিকে একইদিনে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, ভিন্ন দেশ থেকে চলতি জানুয়ারি মাসে সরকারিভাবে এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল দেশে আসবে। এ চাল আসলে বাজারে দাম কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‌‌ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য দরপত্র চূড়ান্ত হয়েছে। মিয়ানমার থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে এক লাখ টন চাল আনা হবে। ৫০ হাজার টন চাল পাকিস্তান থেকে আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর