সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর এদিন বিকালে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
এদিকে বিচার ব্যবস্থা ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। বৈঠক চলতি মাসেই শুরু হতে পারে। বৈঠকে সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি জোরালো হয়ে উঠে। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
এসব কমিশনকে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের সময় বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়। এর পর গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শ্রমবিষয়ক সংস্কারসহ নানা বিষয়ে কমিশন গঠন করে সরকার। সব কমিশনের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিবদেন দিতে কমিশন অংশীজন হিসেবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিশিষ্টজনের সঙ্গে সভা করে তাদের মতামত নিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক জোট ও দল লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমেও জরিপ চালিয়ে মতামত নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চারটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা হওয়ার পর এর সংক্ষিপ্তসার গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে