সারা দেশে বাড়িবাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে। টানা দুই সপ্তাহ চলবে তথ্য সংগ্রহ। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে চলবে নিবন্ধন কার্যক্রম। ৫ ফেব্রুয়ারি ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে নিবন্ধন কার্যক্রম। এবার সপ্তমবারের মতো এ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন  (ইসি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তালিকায় দ্বৈত ভোটার ও মৃত ভোটার বাদ পড়বে। সেই সঙ্গে নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মূলত নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্যই বাড়িবাড়ি তথ্য হালনাগাদ করা হবে।

এ কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল। ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন তারা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া ৩ বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ছয়বার ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহকারীদের বেশ কয়েকটি কাগজপত্র দেখাতে হবে। এগুলো হচ্ছে-  ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি),এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।

সেই সঙ্গে নিজের নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লেখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

ওদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে সেটা সহজেই শনাক্ত করা যায়।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে