নাটোরের গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে এক রাতে ১৪টি বৈদ্যুতিক শিল্প মিটার চুরি হয়েছে। এদিকে চোরদের চুরি যাওয়া মিটারের বোর্ডে লিখে রাখা বিকাশ নম্বরে টাকা দিলে চুরির মিটার মিলছে। তবে এখনো এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

রোববার রাতে শহরের চাঁচকৈড় বাণিজ্যিক এলাকার বেশ ক’টি সমিল, ওয়ার্কশপ, রাইসমিল, আইসক্রিম মিল থেকে ওই মিটারগুলো চুরি হয়। এর মধ্যে চাঁচকৈড় বাজার পাড়া, মধ্যমপাড়া ও পুড়ানপাড়া মহল্লার মোস্তফা, তাজ সরকার, মহাতাব সরকার, আমিরুল ইসলামের মিটার রয়েছে।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত মিটার মালিকরা সকালে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মিটার চুরির বিষয়টি টের পান।  তারা দেখেন- মিটারবোর্ডে চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। চিরকুটে লেখা ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ০১৮.....৪৯২ নাম্বারে কল করুন। পরবর্তীতে ওই নাম্বারে কল করলে মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা বিকাশে চাওয়া হয়। বিকাশ করলেই নির্ধারিত স্থানে মিলছে চুরি যাওয়া মিটার।

ভুক্তভোগীদের একজন জামাল হোসেন বলেন, লিখে রাখা বিকাশ নাম্বারে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার পর মামুন সরকারের দুটি, আলামিন, মালেক সরকার ও হাফিজুল ইসলাম মিটার ফিরে পেয়েছে। কিন্তু টাকা দিয়েও আমার মিটার ফিরে পাইনি।

আরেক ভুক্তভোগী মাহাতাব সরকার জানান, এর আগেও চুরি যাওয়া মিটার ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে চোরের সাথে সমঝোতা করে মিটার ফিরে পেতে চেষ্টা করছি। এদিকে বিদ্যুৎ অফিসের মাধ্যমে নতুন মিটার সংযোগ পেতে সময় ও অর্থ দুটোই ব্যয় হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হন।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের মিটারে লোহার খাঁচা লাগানোর নির্দেশনা দিলেও কেউ মানছেন না। ইতিপূর্বে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তিনি চোর চক্রকে ৫ হাজার টাকা না দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ৬ হাজার টাকা খরচ করে নতুন মিটার নিতে পরামর্শ দেন। চোরদের টাকা দেওয়া বন্ধ করলেই চুরি রোধ সম্ভব বলে জানান তিনি।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বিপ্লব কুমার সরকার  এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন,মিটার চুরির খবর শুনেছি। কিন্তু অভিযোগ পাইনি। তবে চোর ধরতে ও মিটার উদ্ধারে কাজ করছে থানা পুলিশ।

বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে