বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ জানুয়ারী ২০২৫

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তির ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যের এ কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে  কমিটিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত নভেম্বর মাসে দায়মুক্তি আইন হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনটি বাতিল করা হয়। এর আগে আইনটির অধীনে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে আওয়ামী সরকারের করা চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। এবার বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনায় নতুন এ কমিটি গঠন করা হলো।

৬ সদস্যের কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-) মোহাম্মদ সোলায়মান। অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কমিটির আর্থিক মডেলিং বিশেষজ্ঞ পাওয়ারসেলের পরামর্শক তোহা মুহাম্মদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশ পরিচালক (ক্রয় পরিদপ্তর) মো. নান্নু মিয়া। কমিটিতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোনো সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বা দায়মুক্তি আইনের আওতায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তিতে অসঙ্গতি খুঁজে বের করবে এ কমিটি। সেই সঙ্গে সংক্রান্ত সুপারিশ করবে তারা। বিশেষ আইনে করা ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনা করে সেটা কমানো যায় কি-না সে বিষয়ে সুপারিশ করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। এসব কেন্দ্র নির্মাণে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা হয়নি। বরং এসব চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পছন্দের বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে এসব কেন্দ্রের কাজ দেওয়া হয়েছিল।  আর কেন্দ্রগুলো থেকে কেনা বিদ্যুৎতের ব্যয়ও অনেক বেশি পড়ছে।

এদিকে বিশেষ বিধান আইনটি ২০১০ সালে করার পর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। আইনের অধীন দরপত্র ছাড়াই একটার পর একটা চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। দায়মুক্তি আইনের অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই দীর্ঘদিন ধরে আইনটি বাতিলের দাবি উঠলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেটা আমলে নেয়নি। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সে আইন বাতিল করা হয়। এখন পর্যালোচনা করা হবে এ আইনের অধীনে কেন্দ্রগুলোর চুক্তি।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর