২০ বিলিয়নের নিচে রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলের রেখে যাওয়া ডলার সংকট এখনো কাটেনি। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ডলারের সংকট পরিস্থিতি। এর মধ্যে পরিশোধ করতে হচ্ছে আগের আমদানি করা পণ্যের অনেক বিল। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। ওদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার গতি। ফলে অনেকটাই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ। সবশেষ ২২ জানুয়ারির হিসাবে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে রিজার্ভ।

সাধারণত যে কোনো দেশের জন্য ন্যূনতম মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বর্তমানে রিজার্ভ আছে, প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে রিজার্ভ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ২২ জানুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম- পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব পাওয়া যায়। এর বাইরে রিজার্ভ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি হিসাব আছে, এটা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ রে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফের এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা ডলার এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায় দেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে সময় বৈদেশিক ঋণ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। গত আগস্টে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন গভর্নর এসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগানের চেষ্টা করা হচ্ছে।  কিন্তু এরপরও আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসেই এখন পর্যন্ত দুই বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছে প্রবাসী আয়। রেমিট্যান্স প্রবাহের এ গতি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকলে সংকট কাটিয়ে রিজার্ভে সুবাতাস প্রবাহিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর