১ লাখ ৫০০ ইভিএম ব্যবহারের অনুপযোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জানুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৮ সালে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয় করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে লাখ ৫০০ মেশিন ব্যবহারের অনুপযোগী বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের অভিযান পরিচালনাকালে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফলে যেখানে যেখানে ইভিএম সংরক্ষণ আছে, সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রোববার(২৬ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় ইসি ভবনে দুদকের উপ-পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ইভিএমগুলো তিন জায়গায় সংরক্ষণ করে রেখেছে ইসি। ইসি, বিএমটিএফ (বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড ) ইসির ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে মেশিনগুলো থেকে কিছু র‌্যানডমলি যাচাই করা হয়। এ সময় প্রতি তিনটি মেশিনের একটিতে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটি কিছু অচল পাওয়া গেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকী জানান, ইসি ৬১৮টি ইভিএম সংরক্ষণ করেছে। আর বিএমসটিএফ ৮৬ হাজার এবং ইসির ১০টি আঞ্চলিক অফিসে ৬২ হাজার ইভিএম সংরক্ষণ করছে। অভিযানকালে নিম্নমানের মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত কিছু রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে। বাকি রেকর্ডগলোও সংরক্ষণ করা হবে। ইভিএম ক্রয় সংক্রান্ত সব রেকর্ডগুলো যাচাই করা হবে। অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসি সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

একটি প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইভিএম সেট লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকা দরে ক্রয় করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। গত জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখনও ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ইভিএম ব্যবহারের প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

 

বিডি২৪অনলাইন//এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর